বাবরি মসজিদ: তিন দশক পরও কেন শেষ হচ্ছে না অযোধ্যা বিতর্ক?
বাবরি মসজিদ: তিন দশক পরে এখনও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু
ভারতের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি বাবরি মসজিদ ধ্বংস। ঘটনার তিন দশক পরও এর প্রভাব ভারত–বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক এবং বিচারব্যবস্থায় গভীর ছাপ রেখে চলেছে।
যেভাবে শুরু বিতর্ক
অযোধ্যার বাবরি মসজিদটি ১৬ শতকে মোগল সেনাপতি মীর বাকী নির্মাণ করেন বলে ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়। হিন্দুদের দাবি, এই স্থানটি নাকি ভগবান রামের জন্মস্থান; তাই মসজিদের নিচে প্রাচীন মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল—এ দাবি থেকেই শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদী বিরোধ।
১৯৯২ সালের ঘটনা
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের একটি বিশাল সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, কয়েক হাজার কর্মী মসজিদটি ভেঙে ফেলে। এরপরই দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
আদালতের রায়
২০১৯ সালের নভেম্বর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বিতর্কিত স্থানে হিন্দু মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় এবং মুসলিম পক্ষকে অন্যত্র পাঁচ একর জমি দিয়ে মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেয়। রায়টি অনেকের কাছে ন্যায়বিচার বলে মনে হলেও, অন্যদের মতে এটি ‘ইতিহাসের পরাজয়’।
বর্তমান পরিস্থিতি
অযোধ্যায় বর্তমানে রামমন্দির নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। অন্যদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ পাঁচ একর জমিতেও নতুন মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। তবে সামাজিক বিভাজন ও রাজনৈতিক উত্তেজনা সময়–সময় আবারও আলোচনায় ফিরে আসে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
বাবরি মসজিদ ধ্বংস শুধু ভারতের রাজনীতিতে নয়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। আজও এই বিষয়টি ধর্মীয় সহনশীলতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি পরীক্ষার মতো বিবেচিত হয়।
আরো পড়ুন :AI Voice Generator Trend: কনটেন্ট ক্রিয়েশনে নতুন বিপ্লব
FAQ: Babri Masjid
১. বাবরি মসজিদ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায়।
২. বিতর্কের কারণ কী?
উত্তর: স্থানটি ভগবান রামের জন্মস্থান দাবি করায় জমি নিয়ে বিরোধ শুরু হয়।
৩. মসজিদটি কবে ভাঙা হয়?
উত্তর: ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর।
৪. আদালত কী রায় দেয়?
উত্তর: ২০১৯ সালে স্থানে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয় এবং মুসলিমদের জন্য ৫ একর জমি বরাদ্দ করা হয়।

