বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়বে? নতুন প্রস্তাব বিশ্লেষণ
বাংলাদেশে বিদ্যুতের ভর্তুকি কমছে প্রায় অর্ধেকে, দাম বাড়ার শঙ্কা
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি আগামী অর্থবছরে কমানোর প্রস্তাব এসেছে। ২০২৫‑২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে সরকারি বরাদ্দ প্রায় অর্ধেকে নামানো হবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ কারণে সাধারণ ভোক্তা থেকে শুরু করে শিল্পখাতের জন্যও বিদ্যুতের দাম বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল কারণ হলো কোষাগারের ওপর চাপ কমানো এবং খরচের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আগামী অর্থবছরে এই বরাদ্দ কমিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নামানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ার সম্ভাবনা
ভর্তুকি কমালে স্বাভাবিকভাবেই খুচরা মূল্য সমন্বয় করা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরাসরি দাম বাড়ানো না হলেও ধাপে ধাপে মূল্য সমন্বয়ের পথ প্রস্তুত হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হলো উৎপাদন ও বিতরণ খরচের দক্ষতা বাড়ানো এবং অতিরিক্ত ব্যয়ের চাপ কমানো।
বিদ্যুতের খরচ বাড়লে প্রভাব পড়বে—
গৃহস্থালিতে: মাসিক বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যেতে পারে।
শিল্প ও ব্যবসায়: উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে, যা পণ্যের দামে প্রতিফলিত হতে পারে।
সামগ্রিক অর্থনীতি: মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকার কী বলছে?
সরকার আপাতত মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পর্যায়ক্রমে ও সতর্কভাবে নেওয়ার অবস্থানে রয়েছে। বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানো হলেও জনগণের ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়াতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হবে।
উপসংহার
বিদ্যুত খাতের ভর্তুকি কমানো ইতোমধ্যেই বাস্তব, এবং এর প্রভাব হিসেবে ধীরে ধীরে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় হতে পারে। সাধারণ ভোক্তা ও শিল্পখাতের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, তাই সরকারের সিদ্ধান্ত ও বাজার পরিস্থিতি মনিটর করা জরুরি।
বাংলাদেশে বিদ্যুতের ভর্তুকি কমছে কেন?
সরকার অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষা ও কোষাগারের ওপর চাপ কমাতে বিদ্যুত খাতের ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভর্তুকি কমলে বিদ্যুতের দাম বাড়বে কি?
সরাসরি দাম না বাড়লেও ধাপে ধাপে খুচরা মূল্যের সমন্বয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিদ্যুতের দাম বাড়লে কারা বেশি প্রভাবিত হবেন?
গৃহস্থালি গ্রাহক এবং শিল্প ও ব্যবসা খাতের জন্য বেশি প্রভাব পড়বে।
